রফিকুল ইসলাম
হেমন্ত এসেছে...
শরতের সাদা কাশফুল ঝরিয়ে
শিশিরে ভেজা দুর্বাঘাস মাড়িয়ে
বার্তাবাহক আগামী শীতের বার্তা নিয়ে।
হেমন্ত এসেছে...
হিম কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে
শিশিরের টুপটাপ শব্দে গুটিসুটি পায়ে।
হেমন্ত এসেছে...
উৎসব কার্তিকের নবান্নে
বাতাসে ধানের মৌ মৌ গন্ধে
ঘরে ঘরে ফসল তোলার আনন্দে।
হেমন্ত এসেছে...
যেন তাপসী সন্ন্যাসি বিলাস
নিঃশব্দে ধ্যানত্ব নিশ্চুপ চুপিসারে
উদাসী গোধূলির পাতাঝরার মর্মরে।
হেমন্ত এসেছে...
সকালের মিষ্টি রোদ
খেলা করে কঁচি পাতার ফাঁকে
সকালে হায় তোলে নদী নির্জন বাঁকে।
হেমন্ত এসেছে...
হিম রাতের শিশির ঝরে
মাঠের হরিৎ শস্য খেতের পরে
কৃষক কাটবে সোনাধান আনবে ঘরে।
শেখ একেএম জাকারিয়া
হেমন্ত এলেই মনে পড়ে সুফিয়া কামালের হেমন্ত নামের চিরসবুজ সেই কবিতার কথা, ‘সবুজ
আঞ্জুমন আরা
জমিদারের একমাত্র ছেলে হীরা। ছেলেটি বাজে স্বভাবের ও বদ মেজাজি ছিল। জমিদার
আবু সাইদ
দিগন্তজোড়া ওই ফসলের মাঠে, ভেজা পায়ে হেলেদুলে হিমবুড়ি হাঁটে। ছেয়ে গেছে রঙে রঙে হলুদিয়া ধান, পুলকিত
কাজী মারুফ
শরৎ ঋতুর পরে দেশে হেমন্তকাল আসছে দূর্বাঘাসে শিশিরকণা মিটমিটিয়ে হাসছে। ফুলবাগানে হরেকরকম সুগন্ধি ফুল ফুটছে ভ্রমর এসে
আহসান খয়ের
সবুজ মাঠে হলদে রাঙ্গা প্রলেপ দেখা যায়, কোন সে কারু আঁকছে এমন ছবি আমার গাঁয়। কোন
মাহাথির মোবারক
হেমন্ত আজ দুয়ার খুলেছে সবুজ শ্যামল মাটে হেমন্ত আজ ডানা মেলছে শান্ত নদীর ঘাটে। হেমন্ত আজ
রবীন্দ্রনাথ অধিকারী
মতিঝিলের ঝিলে নয় বৌ-টুগানির বিলে আমার এ মন বান্ধা আছে ধান কাউনের নীলে ধান কাউন আর
সামিমা বেগম
ঋতুর রানি বিদায় নিয়ে আসছে আবার হেমন্ত, শিশিরভেজা ধানের ছবি মনমাতানো এমন তো। চতুর্দিকে শ্বেতকুয়াশা সকাল-সাঁঝে ভাসেতো, নজরকাড়া
চান মিয়া চান্দু
হেমন্তের রাতের আকাশ ঝিলিমিলি তারা এই হেমন্তে মন খারাপ করে আছে কারা এই হেমন্তে নদীর পারে সাগর
নূর নাহার নিপা
গাঁয়ের মাঠে সোনালী ধান সোনা রঙে হাসে খুশির ঝিলিক চাষির মুখে আবীর হয়ে
হামীম রায়হান
হেমন্ত তো এলো তুমি এলে না, শিউলির মালা ঝরে ক্ষণে ক্ষণে, কুয়াশার পরশে মন
সালাম হাসেমী
হেমন্ত এলো বাংলার বুকে খুশির খবর নিয়ে, কৃষাণের হিয়া দিয়েছে যে ভরে মাঠে পাকা ধান