সার্বিক রপ্তানিতে ভালো প্রবৃদ্ধি থাকলেও ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি। এ খাতের রপ্তানি ধারাবাহিকভাবে কমছে। সর্বশেষ অর্থবছরের ৯ মাসে চামড়া ও চামড়াজাত পণের রপ্তানি কমেছে ৯ শতাংশের উপরে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চামড়াসহ শীর্ষ কয়েকটি খাতের রপ্তানি ব্যাপকহারে কমে যাওয়ায় চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাস শেষে মোট রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি কমেছে। যেখানে অর্থবছরের ডিসেম্বর অর্থাৎ ৬ মাস শেষে মোট রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ছিল ১৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ। অর্থবছরের মার্চ শেষে অর্থাৎ ৯ম মাসে সেখানে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি কমে ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশে নেমেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) তথ্য অনুসারে চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯ মাসে ৩ হাজার ৯০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রপ্তানি হয়েছিল ২ হাজার ৭৪৫ কোটি ডলারের পণ্য। তবে শীর্ষ সাত পণ্যের মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যেও রপ্তানি কমে গেছে।
উল্লেখিত ৯ মাসে চামড়া, ৭৭ কোটি ডলারের জুতা ও অন্য চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯.০৮ শতাংশ কম। গত অর্থবছর একই সময়ে এ খাতের রপ্তানি হয়েছিল ৮৪ কোটি ৮৭ লাখ ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের।
বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, চামড়ার আন্তর্জাতিক বাজারে এখন মন্দাভাব চলছে। মানুষ ব্যয় কমাতে চামড়ার বিকল্প পণ্যের দিকে ঝুঁকছে। এছাড়া চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধের কারণেও ক্রয়াদেশ কমে গেছে। বাংলাদেশ থেকে কোরিয়ায় বিপুল পরিমাণ চামড়া রপ্তানি হলেও সেটি বর্তমানে বন্ধ। তিনি বলেন, ‘সাভারের চামড়াশিল্প নগরীর কর্মপরিবেশ সন্তোষজনক না হওয়ায় আমরা ইউরোপভিত্তিক জোট লেদার ওয়ার্কিং গ্রুপের (এলডব্লিউজি) সদস্য হতে পারছি না। এ জন্য রপ্তানিকারকরা চামড়ার বাড়তি মূল্যও পাচ্ছে না। সব মিলিয়ে রপ্তানি কমছে।
উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছর ৩ হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্য ঠিক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সে লক্ষ্য অর্জনে শেষ ৩ মাসে ৮১০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করতে হবে। গত ৯ মাসের ধারা বজায় থাকলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি পণ্য রপ্তানি হবে। এখন পর্যন্ত প্রতি মাসে গড়ে ৩০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। মার্চে ৩৩৪ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে, যা গত বছরের মার্চের চেয়ে ৯ দশমিক ৩৫ শতাংশ বেশি।
ব্যয় হবে ৫০ কোটি টাকা
বিনিয়োগ বৃদ্ধির আগ্রহ
কোরিয়ান কোম্পানিসমূহ বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত
শেয়ারবাজারের পতন থামছে না। দিন যত যাচ্ছে পতনের ধারাবাহিকতা ততো বাড়ছে। এর
শেয়ারবাজারে অব্যাহত পতনের প্রতিবাদে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সামনে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
তরুণদের জন্য বিনা জামানতে এবং সর্বনিম্ন সুদে ব্যাংকঋণ দেয়ার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গোল্ডেন হারভেস্ট এগ্রো রাইট শেয়ার ইস্যু প্রস্তাব সংশোধন করার
গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের প্রাক-বাজেট আলোচনা
আগামী অর্থবছরে (২০১৯-২০) বাজেটে কর্মসংস্থানের একটি রূপরেখা রাখার দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক বাজেট