ভ্যাট ফাঁকি রোধে ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে
আগামী বাজেটে ভ্যাটের হার কমে ১০ শতাংশ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বর্তমানে এই হার ১৫ শতাংশ রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রাক-বাজেট আলোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এছাড়াও কোন বিক্রেতা যেন ভ্যাট ফাঁকি দিতে না পারে সেজন্য ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস বা ইএফডি ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান তিনি।
সভায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীসহ বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, নতুন আইনে ভ্যাটের স্তর একটির পরিবর্তে তিনটি (৫ শতাংশ, ৭ শতাংশ এবং ১০ শতাংশ) রাখা হবে। বর্তমানে অনেক ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আছে। সেটিকেও ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। নতুন ভ্যাট আইন কার্যকরের প্রথম বছরেই আমরা ৫০ হাজার মেশিন (ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার) বসিয়ে ভ্যাট আদায় নিশ্চিত করবো। এর সংখ্যা পরবর্তীতে বেড়ে পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। তবে আমরা প্রথমবছর ৫০ হাজারের বেশি পারবো না। আয়কর ও করপোরেট কর কমানোর ইঙ্গিত দিয়ে তিনি বলেন, করপোরেট কর যতটা সম্ভব কমানো হবে। রাজস্বের প্রধান উৎস ভ্যাট, শুল্ক, আয়কর ও করপোরেট কর। তাই রাজস্ব আদায়ের দিকেও নজর রাখতে হবে। রাজস্ব আদায় বাড়াতে হার কমিয়ে আওতা বাড়ানোর উপর জোর দেয়া হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নতুন আইনের আওতায় ভ্যাট আদায়ে ফাঁকি রোধে ইলেকট্রনিক ফিসকাল ডিভাইস বা ইএফডি ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে। অর্থাৎ কোন প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রেতা পণ্য কিনলে মূল্য ইলেকট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে পরিশোধ করবে যা থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই ভ্যাটের দৈনিক ও মাসিক হিসেব পাওয়া যায়। এমনকি এর মধ্যমে ব্যবসায়ীর বেচাকেনার সব তথ্যও সংরক্ষিত থাকবে। তাই ভ্যাট ফাঁকি দেয়ার কোন সুযোগ থাকবে না। এছাড়া এ আইনে ব্যবসায়ীদের লেনদেনের বিষয়টি অটোমেশনে চলে আসলে একজন ব্যবসায়ীর সব সম্পদের হিসেব পাওয়া যাবে। আর তখন কোন ব্যবসায়ী কর ফাঁকি দিচ্ছে কিনা সেটি সহজেই ধরা পড়বে। এর ফলে ব্যবসায় স্বচ্ছতার পাশাপাশি সরকারের ভ্যাট ও আয়কর থেকেও রাজস্ব আদায় বেশ বাড়বে।
এছাড়াও ঋণ খেলাপি রোধে অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি করা হবে। স্বাভাবিকভাবেই আমরা অনেক খেলাপি ঋণ আদায় করতে পারব। তবে যেগুলো স্বাভাবিকভাবে আদায় করা কঠিন হবে, সেগুলোকে আদায় করার জন্য অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানিকে দায়িত্ব দেয়া হবে। এ কোম্পানি কোন শক্তি খাটিয়ে নয়, নিয়ম-কানুনের মধ্যে থেকেই ঋণ আদায় করবে। তিনি বলেন, এ ধরনের প্রতিষ্ঠান আমেরিকাতেও রয়েছে। তারাও এভাবে আদায় করা কঠিন খেলাপি ঋণ আদায় করে থাকে। আমরাও একইভাবে খেলাপি ঋণ আদায়ে চেষ্টা করব।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর শেষে ব্যাংক খাতে বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৯৯ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তিনমাসের ব্যবধানে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। আর বছর ব্যবধানে বেড়েছে ২০ হাজার কোটি টাকা। অবলোপণকৃত ঋণ যোগ করলে এর পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লাখ ৩৮ হাজার কোটি টাকা।
আজ শুরু হচ্ছে সাতদিনের জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা। সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক
অফিস ফার্নিচার নির্মাণকারী এবং অভিনব ওয়ার্কপ্লেস সল্যুশনস্ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টিলকেস বাংলাদেশে তাদের
বিদায়ী সপ্তাহে পতনে শেষ হয়েছে শেয়ারবাজারের লেনদেন। উভয় বাজারের প্রধান সূচক কমেছে।
বছরের শুরুর দিক থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করে। ফেব্রুয়ারিতেও
শিল্পোৎপাদন প্রবৃদ্ধি কমেছে বেকারত্বের
পুঁজিবাজারে ছোট মূলধনী কোম্পানির লেনদেনের জন্য আলাদা বোর্ড গঠনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন
ভোলা জেলার ৭ উপজেলায় চলতি মৌসুমে তরমুজের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।